তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিয়ে ও ধর্মান্ধতা রোধসহ সামাজিক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে স্কাউটরা বরাবরের মতো নিজেদের সক্রিয় রাখবে।’
সোমবার গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯ম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
স্কাউটরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমরাই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।’
কঠোর পরিশ্রম আর অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্কাউটিং একজন শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হাতে কলমে শিক্ষা দেয়। স্কাউটিংকে দেশসেবা ও মানবিক কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। স্কাউটিংয়ের শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক জীবনে প্রতিফলিত করা গেলে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’
তিনি স্কাউটদের বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভবন ধস ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার কাজে তথা জাতীয় দুর্যোগে সবার আগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট-২০৩০ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ ও বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ গ্রহণ করেছে।
ক্যাম্পুরীতে নৌ, বিমান ও রেলওয়ে এবং প্রতিটি উপজেলার সব স্কুলের কমিউনিটি ভিত্তিক ইউনিটের প্রায় ৯ হাজার কাব স্কাউট অংশ নিচ্ছে। প্রতিটি ইউনিটে ছয়জন সদস্য ও একজন নেতা রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট আবদুল হামিদ ক্যাম্পপুরী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। সেই সাথে অনুষ্ঠানে ৪৮ স্কাউটের মাঝে প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং চারজনের মাঝে প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।