মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিক অমির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ রায় দেন।
একই সাথে এ মামলায় গ্রেপ্তার বাকি তিন নারীর বিরুদ্ধে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উদয় কুমার মণ্ডল বিকালে আদালতে আসামিদের হাজির করেন।
আরও পড়ুন: আমি ন্যায় বিচার পাব: পরীমণি
এর আগে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন মাহমুদ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন তুহিন সিদ্দিকি অমি (৩৩), নাজমা আমিন বৃষ্টি (২৪), লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯)।
এয়ারপোর্ট থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর মশিউল আলম জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা সাভার থানার মামলায় সোমবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
যেহেতু গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত হয়েছে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয় সেজন্য বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরীমণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে এক ব্যক্তির সাথে যান। সেসময় তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন যে ছয় জন তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর রবিবার রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন।
সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না।