ভাষা আন্দোলন থেকে প্রতিটি জাতীয় সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করার অন্যতম হাতিয়ার হলো শক্তিশালী কবিতা।
তিনি বলেন, অনেক না বলা কথা কবিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। এটা অনেক সংগ্রামে পথ দেখায়।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন রাজনীতিবিদের কথার চেয়ে একটি কবিতা মানুষকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করতে পারে। কবিতা, গান, নাটক এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানো যায়।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের অভ্যুদয়ের পরপরই বাঙালি সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর প্রথম আঘাত নেমে আসে এবং তাই ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রাম শুরু হয়।
ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মহান নেতা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন, বাংলার ওপর হামলার প্রতিবাদ করেছিলেন, ছাত্রনেতাদের নিয়ে ছাত্রলীগ ও ভাষাসংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন। আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ আরও অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’- এই লাইনটি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণটি একটি কালজয়ী কবিতা (অমর কবিতা)।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার হামলা হয়েছে, কিন্তু বাঙালি নির্বিকার বসে থাকেনি প্রতিবারই প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যায়নি, তখন কবিতার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী