মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পাম অয়েল রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং পাম অয়েলের মূল্য সংযোজন সংক্রান্ত শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দাতুক হাজাহ মালয়েশিয়ার পামওয়েল সেক্টরের বিকাশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া এশিয়ার দেশগুলোতে পাম অয়েলের বাজার সম্প্রসারণে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে তিনি পাম অয়েলের উৎপাদন ও এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য নিরবচ্ছিন্ন শ্রমিক সরবরাহ, আবাসন সমস্যা নিরসনসহ শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার দেশে মোট ১০০টি ইকনোমিক জোন এবং ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে। তিনি মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে জানান যে, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ সকল ইকনোমিক জোন ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে। তিনি আরও জানান যে, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের অনুকরণে মালয়েশিয়া একটি বিশেষ ইকনোমিক জোন বরাদ্দ নিয়ে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে। মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি মিনিস্টার দাতুক হাজাহ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।
এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ও মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন নারীর ক্ষমতায়ন, মালয়েশিয়ায় প্লান্টেশন সেক্টরে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা, দু’দেশের মধ্যে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের নেগোসিয়েশন শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন এবং মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অব প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি’র ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-র্যানং বন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বান