তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সীদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ বাড়বে না।’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে করোনা চলে যায়নি। সবাইকে নো মাস্ক, নো সার্ভিস পলিসি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রমণ রোধ করা যায়, এটা জানা থাকলেও মানুষ অসচেতনভাবে চলাফেরা করছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার ‘নতুন ধরনের’ ১০ রোগী শনাক্ত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
এসময় আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে চাইলে বিয়েসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা থেকে বাঁচা ও চিকিৎসার উপায় আমরা জানি। কিন্তু সব জেনেও আমরা মানি না। করোনা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অর্থনীতি থাকবে না। সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’
দেশে করোনা শনাক্তের হার আরও ঊর্ধ্বমুখী, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২ হাজার ছাড়াল
দেশে মহামারি করোনাভাইরাস আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশেরও বেশি এবং শনাক্ত ২ হাজার ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে।
২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৬২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৮৭ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৯ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বুধবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১ মৃত্যু ও ১ হাজার ৮৬৫ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি পরীক্ষাগারে ২১ হাজার ২১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২০ হাজার ৯২৫টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৪৫ শতাংশ। এর আগেরদিন বুধবার শনাক্তের হার ছিল ৭.৬৮ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১২.৯৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫২৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমকি ৬১ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব