অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১০ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আনসার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদকালীন তাদের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব না।’
এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি কিশোর বন্দীদের দাবি, কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যদের বেধড়ক পিটুনিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে।
বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে মারপিটের ঘটনায় তিন বন্দী কিশোর নিহত হয়। এ সময় আহত হয় আরও ১২ জন। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ঘটনার পরপরই কেন্দ্রের কর্মকর্তা মুশফিক আহমেদ দাবি করেন, বন্দী কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মারাত্মক জখম হয় ১৫ কিশোর। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের পর্যায়ক্রমে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইম, পারভেজ ও রাসেল নামে তিন কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমিয় দাশ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা যায়।