বাংলাদেশ যুদ্ধের অবসান চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে জাতিসংঘে কোনও রেজুলেশন গ্রহণের সময় ‘যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে বা আলোচনার সুযোগ তৈরি হলে’ বাংলাদেশ খুশি হবে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অবসানে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব থাকলে বাংলাদেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে ভোট দেবে।
যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার কারণে জনগণের দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই সুনির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার। আমরা কোনও যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই এই যুদ্ধ বন্ধ হোক। আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে এর সমাধান চাই’।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান সর্বদা জনগণের কল্যাণের পক্ষে এবং তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্তে ভোট দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি অবশ্য বলেছেন, হ্যাঁ, না বা বিরত থাকা হবে কিনা তা আগে থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এবং সুবিবেচনার সঙ্গে ভোট দিয়েছে এবং কোনও ভোট হলে বাংলাদেশ আবারও বিচক্ষণতার সঙ্গে তা প্রয়োগ করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনও রেজুলেশন আসতে পারে, যদি তারা যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিতে পারে বা আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে পারে, তাহলে আমরা খুশি হব।’
ইউক্রেনের ওপর তার চলমান জরুরি বিশেষ অধিবেশনের অংশ হিসেবে, ইউক্রেনের একটি খসড়া প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য আজ সাধারণ পরিষদের বৈঠক হয়েছে যা অনুমোদিত হলে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল রাশিয়ান ফেডারেশনের সংযুক্তির ‘নিন্দা’ জানাবে জাতিসংঘ।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের কিছু নীতি আছে। আমরা সেই নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করি। আমরা জাতিসংঘের সনদে বিশ্বাস করি। আমরা জাতিসংঘের বৃহৎ সমর্থক। জাতিসংঘও বাংলাদেশের জন্য গর্বিত’।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে নীতি ও মূল্যবোধ অনুসরণ করে এবং বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী হতে দেখতে চায় যেভাবে কোভিড-১৯ এর সময় বিশ্ব সেই সংস্থাগুলোর চাহিদা দেখেছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনালাপের সময় যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান জানিয়েছিল এবং বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব অবস্থান জানায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী