তিনি বলেন, ‘যার জায়গা তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যাই হোক না কেন সবার প্রতি এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। যার যার ডোবা তারা নিজেরা পরিষ্কার করবেন, অন্যথায় যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেয়া হবে।’
ডিএনসিসির গুলশানস্থ নগর ভবনে সমন্বিত মশকনিধন কার্যক্রম পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় মেয়র আতিক এ কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় গত ৮-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সমন্বিত মশকনিধন কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, মশক নিধন কর্মী, পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক, মশক সুপারভাইজাররা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
মেয়র সকলের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সে অনুযায়ী আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য দিক নির্দেশনা দেন।
এসময় আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমির তালিকা প্রণয়ন করে জমা দিতে মেয়র আতিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। ৩ এপ্রিলের মধ্যে সকল ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জায়গার মালিকদের নিজ নিজ ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কারের জন্য চিঠি দেয়ার জন্য মেয়র নির্দেশ দেন। যারা পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ১০ এপ্রিল থেকে গণহারে মামলা করারও নির্দেশ দেন তিনি।
আতিক বলেন, যত বেশি আত্মসমালোচনা করা যাবে, তত বেশি গ্যাপ কমানো যাবে। অভিযান চলাকালে আমি আমাদের ১২০০ মশকনিধন কর্মীর হাজিরা দেখতে চাই, কিন্তু সেটা পাইনি। তাই প্রত্যেক মশক সুপারভাইজারকে তার নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশকনিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে। বায়োমেট্রিক হাজিরা ও ট্র্যাকার স্থাপনের জন্য তিনি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেন। ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য তিনি সময় বেঁধে দেন।
আরও পড়ুন: খাল দখলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউন্সিলরশিপ থাকবে না: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, প্রত্যেক মশকনিধন কর্মীর ট্র্যাকার লাগিয়ে মনিটরিং করতে হবে। মশকনিধন সুপারভাইজাররা মনিটরিং করবেন। কাউন্সিলররাও মনিটরিং করবেন।
এডিস মশার বিষয়ে মেয়র বলেন, এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণে এপ্রিল মাস থেকেই জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে। এছাড়া ডোবা, নালা, জলাশয়ে মশার প্রজনন রোধ করার জন্য ম্যালেরিয়া ওয়েল বি প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন মেয়র। এছাড়া ওয়ার্ডের আয়তন এবং জনঘনত্ব অনুযায়ী মশকনিধন কর্মী পদায়নের নির্দেশ দেন আতিকুল ইসলাম।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে ওয়ার্ড সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং কম মশা পাওয়া যাবে সে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তার টিমকে আগামী ডিসেম্বর মাসে স্বর্ণ পদক দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর সাইদুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, আবদুল মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নগরবাসীকে নিয়ে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার মেয়র আতিকের
আনিস ভাই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জিং কাজে হাত দিয়েছিলেন: মেয়র আতিক