দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, তুরস্ক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছে এবং সম্মানের সঙ্গে যাতে তাদের প্রত্যাবর্তন করা যায় সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথ বলবে।
তিনি বলেন, ‘তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন-বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করা যায় সেজন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।’
শনিবার ঢাকায় একটি হোটেলে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লুর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। তিনি তার সরকার থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দু’দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চেয়েছেন এবং আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি। এর ফলে ভবিষ্যতে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় পরস্পর সহযোগিতা করতে পারবো।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় ঢাকা-আঙ্কারা সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়া কক্সবাজারের মতো আফাদ সংগঠনটি যাতে ভাসানচরেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত করতে পারে সে আবেদন জানান এবং আফাদের প্রধানকে তিনি দায়িত্ব দেন। এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সচিব মো. মোহসীন এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী সেলের প্রধান (যুগ্মসচিব) হাসান সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লুর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইসমাইল ছাতাকলু, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার খালিল বল দামির, তুরস্কের দুজন সংসদ সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ একা নয়: সোলাইমান সয়লু