সন্ত্রাসীদের কোনো সীমান্ত নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয় হলো, যদি এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এটি উগ্রপন্থার জন্ম দিতে পারে।’
শনিবার ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সামগ্রিক সামাজিক প্রভাবের জন্য হুমকি সত্বেও, মিয়ানমারে গণহত্যার মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক দিক বিবেচনায় নিজ ভূমিতে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে এ সংকট সমাধানে আগ্রহী।
‘মিয়ানমার আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ, তাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে,’ বলেন তিনি।
যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু এখনও কাউকে ফেরত নেয়া হয়নি।
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও সম্মত হয়েছিল মিয়ানমার।
‘কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা ফেরত যায়নি এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছেন না কারণ তারা মিয়ানমার সরকার এবং সেখানে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্বাস করেন না।
আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ২৭তম এ বৈঠকে ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাম বিন মিনহ সভাপতিত্ব করেন।