ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদরদপ্তর ব্রাসেলসে বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১২তম আসেম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সাথে এক সাক্ষাতে তিনি এ আশ্বাস দেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আন্তরিক প্রচেষ্টাসহ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না।
প্রেসিডেন্ট বেরসে গত ৪-৭ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ সফর খুব সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলীকেও ধন্যবাদ জানান। ১৯৭২ সালে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর বেরসেতের ওই সফর ছিল বাংলাদেশে কোনো সুইস প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর।
সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলীর সাথেও সাক্ষাৎ করেন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ও সুইজারল্যান্ডের সহায়তায় পরিচালিত একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেন সুইস প্রেসিডেন্ট এবং দুদেশের মধ্যে চলমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা সংকটে পূর্ণ সমর্থন দেয়ায় সুইস প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, দুদেশের মধ্যকার চমৎকার দ্বিপাক্ষিক ও বিভিন্ন ফোরামে বহুপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে দেশ দুটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ১২তম আসেম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এতে ৪৫টির অধিক দেশের সরকার/রাষ্ট্র প্রধান এবং কিছু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।