রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতিবছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে তার সঙ্গে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজার সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে বলপূর্বক ব্যস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনার সময় প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। আলোচনায় ব্যস্তুচ্যুত এ সকল মিয়ানমার নাগরিককে সহায়তা দানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এ সকল নাগরিকদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ
প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দুত বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদে নাগরিক অধিকারসহ তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সেলক্ষ্যে আসিয়ানসহ তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে আসার আগে তিনি মিয়ানমার ভ্রমণ করেন এবং এ সকল নাগরিকদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যস্তুচ্যুত এ সকল মিয়ানমার নাগরিকরা যেন যথাযথ যাচাইকরণের মাধ্যমে তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সেলক্ষ্যে অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যেতে হবে। তাঁর এ সফরের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যেমে সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দ্রুত টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী