পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যে বাংলাদেশের একটি স্থিতিশীল আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এবং ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্পদ ও কর্মশক্তিকে কার্যকরভাবে একীভূত করতে, সহযোগিতার জন্য জনসমর্থনকে একত্র করতে এবং উপ-অঞ্চলের পূর্ণ পুনরুজ্জীবন অর্জনের জন্য উন্নয়নই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
শুক্রবার সিলেটে একটি উৎসবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুযোগ অফুরন্ত- একবার আমরা (সম্পূর্ণ) উপলব্ধি করতে পারলে, এটি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যাপক অবদান রাখবে।’
সিলেট-শিলচর উৎসব হল দুটি শহরকে যুক্ত করার উৎসব: সিলেট ও শিলচর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিবৃতি দিয়েছেন কারণ আঞ্চলিক এই দুই দেশ তুলনামূলক ও পরিপূরক প্রতিযোগিতার পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করে স্বার্থ ও ভাগ্যের একটি অত্যন্ত পরস্পর নির্ভরশীল সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে।
মোমেন আশা প্রকাশ করেন, অভিন্ন সংস্কৃতি, একই ধরনের খাবার এবং দুই দেশের অভিন্ন আকাঙ্খা প্রদর্শনের মাধ্যমে সিলেট-শিলচর উৎসব বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, উৎসবটি উভয় পক্ষের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একসঙ্গে শান্তি ও সমৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে এবং বিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরি করতে পারে।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং আমাদের ভবিষ্যৎ ভাগ করা সমৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে রচিত। বাংলাদেশ একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে ভারতের উত্থানকে তার নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার একটি বড় সুযোগ বলে মনে করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ’ ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন