নিহত তারিকুজ্জামান তারিফ খান শরীয়তপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহতের পরিবার, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী, ভোজেশ্বর ইউনিয়নবাসী ও শিক্ষকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়ে পরে সেখানে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে নিহত তারিফ খাঁনের বাবা লিটন খানসহ বক্তারা বলেন, সালাউদ্দিন গোরাপি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বিষাক্ত গ্যাসযুক্ত সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে নামিয়ে হত্যা করেছে তারিফ খানকে। তাই সালাউদ্দিন গোরাপিকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, দুই মাস আগে নির্মাণ করা ওই সেফটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাইয়ের কাঠ খোলার জন্য নির্মাণ শ্রমিক শাহাদাতকে নিয়ে গত শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে সালাউদ্দিন গোরাপি সেখানে যান। সেপটিক ট্যাংকের নিচে নেমে শাহাদৎ অচেতন হয়ে পরেন। তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সালাউদ্দিন তাদের প্রতিবেশি তারিফ খানকে ওই ট্যাংকে নামান। নিচে নেমে সেও অচেতন হয়ে পরে। তাদের উদ্ধার না করে সালাউদ্দিন আরও তিন ব্যক্তিকে সেফটিক ট্যাংকে নামায়। খবর পেয়ে তারিফের বাবা লিটন খান আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তারিফ খান ও শাহাদাৎ গোরাপিকে মৃত ঘোষণা করেন।