সেই সাথে নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সারোয়ার হোসেনকে খালাস, ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানের ১৪ বছর সাজাভোগ হয়ে যাওয়ায় অন্য কোনো মামলা না থাকলে মুক্তি এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদ ও ১৪ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আনিসুল ওরফে আনিসের সাজা বহালের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ১০ জন হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।
আরও পড়ুন: দুদককে ঢোঁড়া সাপ হলে হবে না, জাত সাপ হতে হবে: হাইকোর্ট
সাক্ষর জালিয়াতির মামলায় এক ব্যক্তিকে পুলিশে দিল হাইকোর্ট
ঢাকার বায়ু দূষণ: হাইকোর্টের আরও ৩ দফা নির্দেশনা
এর আগে, মামলার ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স ও আসামিপক্ষের করা আপিল আবেদনের ওপর গত ১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য রেখেছিল।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।
শেখ হাসিনার ২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দুই দিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকান ঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ডেথ রেফারেন্সের রায় ১৭ ফেব্রুয়ারি
শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি ফের শুরু
এসব ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দুটি ২০১০ সালে ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। দুই মামলার একটিতে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম। অন্য মামলায় নয়জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে।