বৃহস্পতিবার উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে নির্মাণকাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সাময়িকভাবে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য মুন্সিগঞ্জে বিসিক কেমিক্যাল শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। এ শিল্পনগরী স্থাপনের পরপরই সেখানে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবসায়ীদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেয়া হবে।
অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিকের গুদাম নির্মাণ প্রকল্প আগামী ৬ মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইতিমধ্যে দেশে ব্যবসা ও শিল্পসহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
অস্থায়ী গুদাম নির্মাণের ফলে বিশেষ করে পুরান ঢাকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ঢাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. হাইয়ুল কাইয়ুম ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও নকশা) ক্যাপ্টেন আল আমিন চৌধুরীসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ৬ দশমিক ১৭ একর জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা হলেও নৌবাহিনী পরিচালিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ৪৯ কোটি ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮৫ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে।
প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি অস্থায়ী গুদাম, ভূমি উন্নয়ন, গুদাম সংশ্লিষ্টদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট দুটি অফিস ভবন, বিসিআইসির জন্য একটি অফিস ভবন, একটি মসজিদ এবং ১ লাখ গ্যালন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওভারহেড ও একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পানির ট্যাংক নির্মাণ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমার, জেনারেটর ও ফায়ার হাইড্র্যান্টসহ স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা স্থাপন, সংযোগ রাস্তা, আরসিসি ড্রেন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে ২৩টি গুদাম তৈরির জন্য লেআউট প্লান সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।