তিনি বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই এবং আমরা তা নিশ্চিতভাবেই করব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
সমতল ভূমিতে বাস করা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এ বৃত্তি দেয়া হয়।
এ বছর ৫০০ শিক্ষার্থীকে (৩২০ জন ছেলে ও ১৮০ জন মেয়ে) ২৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হয়েছে এবং অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে ২০ জন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে চেক গ্রহণ করেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা যাতে নিজেদের অবহেলিত না ভাবেন সেই আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেকে সবার এ দেশের নাগরিক ভাবতে হবে এবং প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং তাদের উন্নত জীবন দেয়া। ‘এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই, আমরা শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সব মানুষের উন্নয়ন চাই।’
নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের জীবনযাপনের বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় কাজে নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের অংশগ্রহণ বাড়বে। আর আজকের বৃত্তি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও নিজেদের মেধা বিকাশে সাহায্য করবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য নিয়ে তিনি বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি তার সরকার গুরুত্ব দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে আরও উন্নত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) খলিলুর রহমান।
সমতল ভূমিতে বাস করা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্রহণ করা ‘সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ বৃত্তি দেয়া হয়েছে।