এছাড়া, কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অজ্ঞাত ৩৫-৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় করা আরিফুলের অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রুলে আরিফুলকে দেয়া সাজার প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত।
এর আগে, সোমবার সকালে আদালতে উপস্থিত হন আরিফুল। পরে আদালত তাকে রিট আবেদনকারী হতে বলে। সে অনুসারে রিটের আবেদনকারী হন আরিফুল। এরপর আদালত এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
পরে প্রতিকার চাকমা বলেন, ওই সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এখন লিখিত আদেশ পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ১৩ মার্চ মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেন। পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে বাড়িতে ‘আধা বোতল মদ ও দেড় শ গ্রাম গাঁজা’ পাওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে সাংবাদিক আরিফুলের সহকর্মী ও পরিবারের দাবি, একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন করায় জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ফাঁসিয়েছেন। মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জেলে পাঠানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি আমলে নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ডিসি ও আরডিসিসহ চারজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগের তদন্ত করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এভাবে দণ্ড দেয়ার ঘটনায় গত ১৫ মার্চ বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন-উর-রশীদ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন।
এদিকে, কোনো আবেদন না করার পরও সাংবাদিক আরিফুলকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা ১৫ মার্চ জামিন দেন। পরে ১৬ মার্চ ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনার সব নথি (রেকর্ড) চায় হাইকোর্ট। এছাড়া সাংবাদিক আরিফুলকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়।