চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এবং যশোরের কেশবপুরে সাপের কামড়ে এক নারী ও এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। একই দিনে জেলার জীবননগর উপজেলায় সাপের কামড়ে এক শিশু আহত হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।
নিহত জোসনা বেগম (৪৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারী গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার শাহিন আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে ভবন থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি গোয়াল ঘরে কাজ করার সময় একটি হলুদ রঙের বিষধর সাপ জোসনা বেগমের পায়ে কামড় দেয়। জোছনা বেগম বুঝতে পারে না যে তাকে সাপে কামড়িয়েছে।
পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় চিকিৎসক জোবাইদা জামান (জয়া) তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোরের কেশবপুরে সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহনা চক্রবর্তী মিতু (১২) গৌরীঘোনা গ্রামের কার্তিক চক্রবর্তীর মেয়ে এবং কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের কার্তিক চক্রবর্তীর মেয়ে মোহনা চক্রবর্তী মিতু সোমবার রাতে তার দাদির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল।
রাত ১১টার দিকে তাকে ঘুমের ভেতর বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। বিষের যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একজন ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে ঝাড়-ফুঁকে কোনো কাজ না হওয়ায় মিতুকে অন্য আরেক ওঝার কাছে নেওয়া হয়।
এখানে ঝাড়-ফুঁক করার সময় মিতুর অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে গৌরীঘোনা দক্ষিণপাড়া মহাশ্মশানে তার শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
অন্যদিকে, একই সময়ে জীবননগর উপজেলার রাজানগরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় সাপের কামড়ের শিকার হয় শিশু সাইফ (৮)।
সাইফ ওই এলাকার পুলিশ সদস্য মাসুদের ছেলে ও জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর শিশুটি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়।
শিশু সাইফের মা শিল্পী খাতুন বলেন, বাড়ির উঠানে খেলার সময় আমার ছেলেকে সাপে কামড়িয়েছে। ছেলে আমাকে জানিয়েছে সাপটি হলুদ ও কালো রঙের।
পরে আমি তৎক্ষণাৎ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক জোবাইদা জামান বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিশুটি শঙ্কামুক্ত কিনা এখনই বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় বসত ঘর থেকে ৬ ফুট লম্বা সাপ উদ্ধার, বনে অবমুক্ত