বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবসটি জাঁকজমকভাবে পালনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।

এদিন সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি সমগ্র ক্যাম্পাস ঘুরে টিএসসির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: ভিসির দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে আন্দোলনে সিকৃবির শিক্ষকরা

এ সময় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাতের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম এবং প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সিকৃবির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি সরকারের কল্যাণে সিলেট অঞ্চলের কৃষি, শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের লক্ষে সিকৃবি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশেষভাবে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের একক প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রাণীদের প্রতি সদয় হতে সিকৃবি উপাচার্যের আহ্বান

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, সিলেটে মাটি, পানি ও আবহাওয়া উপযোগী কৃষিপণ্য উৎপাদন, কৃষি ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষাদান, গবেষণা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে সিলেটের তথা জাতীয় উন্নয়নে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সিকৃবি। আমরা সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকেও দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করে চলেছি।

তিনি আরও বলেন, সিকৃবিকে একটি পরিবার ভাবতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমেই আমরা সিকৃবিকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।

আরও পড়ুন: সিকৃবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা