হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি হাতি ‘হত্যা’র প্রেক্ষাপটে হাতি হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
নির্দেশে হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাতি হত্যা রোধে সচেতনতা বাড়াতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আদালত তার রুলে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিন ব্যক্তি এই রিট আবেদন করেন। রিটে পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে গত ৯ নভেম্বর মামলা করে বন বিভাগ। পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) মামলাটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন আদালতে করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, নেছার উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন ও আমান উল্লাহ। তারা সবাই সাতকানিয়ার বাসিন্দা।