ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে দেয়া হয়েছে ১২ বছরের সাজা। বাকি ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কম সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ এটা হলো অর্গানাইজ ক্রাইম। এখানে কম বেশি দেয়ার সুযোগ নেই। তাই রফিকুল আমীন ছাড়া বাকিদের সাজা বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি আজ শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালত আগামীকাল সোমবারের কার্যতালিকায় আবেদনটি অন্তর্ভূক্তির আদেশ দিয়েছেন। আশা করছি এ সপ্তাহেই আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
চলতি বছরের ১২মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। হারুন-অর-রশীদকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সাড়ে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তা ব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচার শেষে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট