চাঁদপুরে ১০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটে তিন নারীসহ ৫০ জন বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে তাদের অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাদের অভিভাকরাও কখনও ভাবেননি,টাকা ছাড়াই তাদের সন্তানরা পুলিশে চাকরি পাবে।
স্বচ্ছতা ও সততার এই বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো.মিলন মাহমুদ। এছাড়া তিনি নিয়োগপ্রাপ্তদের সব মেডিকেল চেকআপ পুলিশ হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করেন।
এ উপলক্ষে রবিবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনসে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে এক বিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নিয়োগ পরীক্ষায় নির্বাচিত ৫০ জন নারী ও পুরুষকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো.মিলন মাহমুদ।
আরও পড়ুন:মাগুরায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়ের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নিয়োগ পরিক্ষার দায়িত্বরত সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মো.মাসুদ রানা ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
পুলিশ সুপারের অফিস সুত্রে জানা যায়,সারাদেশের মতো চাঁদপুর জেলাতেও ২৭ অক্টোবর পুলিশের ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে’ পরীক্ষা হয়।পরীক্ষায় মোট দুই হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। তারা সবাই চাঁদপুর জেলার।
এর মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ৪১৩ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ জন এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষে চুড়ান্তভাবে ৫০ জনকে নির্বাচন করা হয়। এছাড়া অপেক্ষমান তালিকায় ১১ জনকে রাখা হয়েছে।
নির্বাচিত সদস্যদের মেডিকেল রিপোর্টে যদি কেউ বাদ পরে তাহলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে বেশি মার্কস পাওয়াদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেয়া হবে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন:রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
পুলিশ সুপার মো.মিলন মাহমুদ বলেন,বাংলাদেশ এখন সব দিক থেকে সক্ষম এবং আধুনিক। আমাদের মাননীয় আইজিপি স্যার বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আইজিপি স্যারের নির্দেশে পুলিশের সকল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়েছে।
চাঁদপুরে পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তিনজন নারীসহ ৫০ জন যোগ্য ব্যক্তিকে আমরা নিয়োগ দিতে পেরেছি। তাদের মাত্র একশ টাকা ব্যাংক ড্রাফ করতে হয়েছে। এছাড়া আর কোনও খরচ হয়নি। অবৈধ পন্থা কিংবা দালাল ধরতে হয়নি।
তিনি আরও বলেন,আজকে যারা মাত্র একশ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পেলো,তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে সারাজীবন সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবে। তোমরা যে স্বচ্ছতার মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ পেলে- কর্মজীবনে সে স্বচ্ছতা ধরে রাখবে।
আরও পড়ুন:জয়পুরহাটে এক ঘণ্টার পুলিশ সুপার স্কুলছাত্রী নুসরাত মাহিরা