করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য পুনরায় নিজের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ সময়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ে।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চলমান সংকট এবং পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশের মূলধারার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং জনগণকে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার সুযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র করদাতাদেরকে ১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ সালের মধ্যে তাদের জমি, দালান, ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্টসহ যেকোনো ধরনের অঘোষিত সম্পত্তি প্রকাশ করার অনুমতি দেয়া হবে। তবে, উক্ত সম্পত্তির প্রতি বর্গমিটারে একটি নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করতে হবে।’
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র করদাতারা উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদানের মাধ্যমে অঘোষিত নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার বা বন্ড প্রকাশ করতে পারবেন এবং আয়কর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় সম্পদের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের শেয়ার বাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে, স্বতন্ত্র করদাতারা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে তিন বছরের লক-ইন পিরিয়ডসহ নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
‘এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আসন্ন অর্থবছরের জন্য আমাদেরকে চূড়ান্ত বিচক্ষণতার সাথে দূরদর্শিতাপূর্ণ আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।