দিনাজপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নাটোর জেলায় বৃহস্পতিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৯ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে পার্ক করা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় চারজন নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন জানান, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসটি থেমে থাকা ট্রাককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও অপর দুইজন আহত হয়।
এদিকে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন-জেসমিন সাদিয়া (২৮), তার দুই মেয়ে শাফা (১১), সামিহা (৭) এবং বিল্লাল বেপারী (৪০)।
অন্যদিকে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উচিৎপুরে বৃহস্পতিবার একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে চারজন বহনকারী থ্রি-হুইলারের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-পার্বতীপুর উপজেলার শংকরের ছেলে উত্তম (৩৫), উত্তমের স্ত্রী পল্লবী (৩২) ও তাদের ৯ বছরের ছেলে অর্ণব (৮) এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুরের পলাশ মহন্তের ছেলে মহন্ত (৮)।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বাসটি একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় থ্রি-হুইলারকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই শিশু নিহত হয় এবং চারজন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে উত্তম ও তার স্ত্রী পল্লবীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান এবং অন্য দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে সদর উপজেলার ভেষজ চিকিৎসককে (কবিরাজ) দেখাতে সিকদারহাটে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পরিবারটি।
এছাড়া দুর্ঘটনার পর দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরেকদিকে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার জগদীশপুরে রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে সাধনপুর পঙ্গু নিকেতন কলেজের ছাত্র ইমন হোসেন (১৯) নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪