সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যেভাবেই হোক এটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন, প্রচারাভিযানসহ অন্যান্য উপায়ে এটা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনারভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকেই সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া অফিসে না আসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসনকেও ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত তাদের কার্যালয় ও অধীন দপ্তরগুলোতে কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, সব সচিবকেও বলে দেয়া হয়েছে যাতে তাদের অধীন দপ্তরগুলোতে বিষয়টির প্রচার করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহায়তা চান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেন সেবা না পাওয়া যায় সেজন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
কোভিড-১১ মহামারি সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে, বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ।
বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সন্তুষ্টি জানায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাংলাদেশ ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় এটি খুব ভালো অর্জন। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সত্যিই একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মহামারির ক্ষত কমাতে সরকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় মোট এক লাখ ২০ হাজার ৫৩ কোটি টাকা (যা জিডিপির ৪.৩ শতাংশ) সহায়তা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৫৭ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।