এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধের চেয়ে জঘন্য অপরাধ করছে।
একইসঙ্গে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’ রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইআরডিএফবি।
এ ছাড়া যারা এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির’ প্রতিবাদে শনিবার (১১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় ইআরডিএফবি।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েও হরতাল-অবরোধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা যথা সময়ে হবে কি না- এই সংশয়ে রয়েছেন। এতে করে তাদের মানসিক চাপ বাড়ছে এবং প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেজন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান শিক্ষকরা।
একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে সভায় বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির মদদ যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
সভায় বক্তব্য দেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এমদাদুল হক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহবুবুর রহমান, চাঁদুপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আক্তার, বাংলাদশে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. শাহ আলিমুজ্জামন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. অলোক কুমার পাল।
সভায় বক্তব্য আরও দেন- বাংলাদশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপউপাচার্য ড. মোকাদ্দেম হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. আবুল কালাম আজাদ, শেকৃবির সাবেক উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহম্মাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত হুদা, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামীম আরা হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরবিশে সৃষ্টি করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের অপরাজনীতি ও বিদেশিদের প্রতি নির্ভরতা দেশের মানুষের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এসব শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে তরুণ সমাজ গণতন্ত্রের বিজয় উৎসব উদযাপন করবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অন্যায়ের সম্মুখীন কি-না মূল্যায়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর