বিনোদনের পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণমানুষের আত্মত্যাগ তুলে ধরতে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিনোদনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমাজ সংস্কারে, মানুষকে শিক্ষা দেয়া, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে পারে।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২৭টি বিভাগে ৩২ জন বিজয়ীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের মধ্যে সম্মানজনক এই স্বীকৃতি তুলে দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র জীবনের আয়না এবং চলচ্চিত্রই পারে সমাজকে সংস্কার করতে।
তিনি বলেন, সমাজ সংস্কারে বিরাট অবদান রাখতে পারে এই চলচ্চিত্র, জীবনের দর্শন আসে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, ইতিহাসের প্রবাহ জানা যায় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে অনেক তথ্য স্থানান্তর করতে পারে চলচ্চিত্র এবং এটি ইতিহাসের বাহক। চলচ্চিত্র অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ দেয়। এতে অনেক হারিয়ে যাওয়া বিষয় সামনে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ থেকে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা প্রকাশ করা যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করতে চান। এর জন্য উপজেলা পর্যায়ের সিনেমা হলগুলোকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সরকার এক হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে।
তিনি নতুন সময় এবং নতুন প্রজন্মের জন্য পুরানো সিনেমাকে ডিজিটালে রূপান্তরের উপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।