ইউএনএইচসিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্বব্যাপী ইউএনএইচসিআরের ৩২ জন শুভেচ্ছা দূত রয়েছেন, যারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ইউএনএইচসিআরের কাজ সবার সামনে তুলে ধরেন।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা হিসেবে পরিচিত তাহসান ২০১৯ সাল থেকে শরণার্থীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিভিন্ন উদ্যোগে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে একত্রে কাজ করছেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন এবং বিশ্ব শরণার্থী দিবস ও ইউএনএইচসিআরের অন্যান্য অনুষ্ঠানে যুক্ত থেকে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় সাহায্য: তাহসানের নিলাম থেকে এল সাড়ে ৭ লাখ টাকা
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইইউ’র অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর
এসব কাজের মাধ্যমে তাহসান কক্সবাজারে শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সামনাসামনি দেখেছেন, তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্তির ঘোষণার পর তাহসান বলেন, ‘জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সম্মানিত ও গর্বিত বোধ করছি। ইউএনএইচসিআর সারা বিশ্বের শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা দেয় এবং সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর এক শতাংশেরও বেশি মানুষ (প্রতি ৯৭ জনে ১ জন) এখন সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে বাস্তুচ্যুত। সুবিধাভোগী ৯৯ শতাংশ মানুষের একজন হিসেবে শরণার্থীদের হয়ে কথা বলা আমার নৈতিক দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রশংসায় ওমান
ফিরে দেখা ২০২০: রোহিঙ্গাদের জন্য যন্ত্রণার আরও এক বছর
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর জোরপূর্বক নয়: ঢাকা
ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য সম্মান ও গর্বের ব্যাপার যে তাহসান বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছা দূত হতে সম্মত হয়েছেন। তিনি শুধু একজন মেধাবী সংগীতশিল্পী ও অভিনেতাই নন, তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত একজন অসাধারণ মানুষ, যিনি বাংলাদেশ ও দেশের বাইরেও জনপ্রিয় ও সমাদৃত। আমি নিশ্চিত, তাহসান শরণার্থীদের অধিকার, কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য এক নতুন কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করবেন।’
ইউএনএইচসিআর শরণার্থী ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সমর্থনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত করে। তারা নানা ধরনের প্রচারণায় অংশ নেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।