সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালের আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে আগামী ৬ জুলাই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে ইথুন বাবুকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন নোবেল। সেখানে নোবেল লেখেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে’।
নোবেলের এমন স্ট্যাটাস ইথুন বাবুর ভক্তশ্রোতা, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেখতে পেয়ে তাকে অবগত করেন। পরে গত ২৩ মে তিনি হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেন। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন নোবেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইথুন বাবু বলেন, ‘আমার দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে যে কথা কেউ কোনোদিন বলতে পারেনি নোবেল আমাকে সেই কথা বলেছে। আমি নাকি চোর? আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। ছেলে এমবিএ করছে। শ্রোতা-ভক্তসহ সারাদেশে সংগীত এবং সংগীতের বাইরে আমার অসংখ্য বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। নোবেলের স্ট্যাটাসের কারণে সবার কাছে আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি, থানায় জিডি করার পর এবার জজ কোর্টে মামলাটি করেছি।'
আরও পড়ুন: কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিল্পী মাস্তান হতে পারে না। শিল্পীর মনোভাব কখনও এমন হয় না। নোবেল নিজেই তাকে শিল্পী নয়, ক্যাডার বলে আখ্যায়িত করেছে। তার ভয়েস মেসেজটি সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।'
'সাংবাদিকদের সে তুলে নিয়ে যাবে, আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করবে- তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না,’ বলেন তিনি।