ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বছরজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করে খামারিরা। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এর মৌসুম ধরা হয়। মৌসুম চলাকালে দুধের উৎপাদন বেড়ে প্রতিদিন ২০ হাজার লিটারে দাঁড়ায়। অথচ ঠিক মৌসুম সময় দেশব্যাপী করোনা প্রভাবের কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন জেলার খামারিরা।
সূত্র আরও জানায়, স্বাভাবিক সময়ে খামারিরা দুধ বিক্রি করতেন লিটার ৭০ টাকা যা এখন ৩০ টাকা, তাও বিক্রি করা যাচ্ছে না। দুধের প্রধান ক্রেতা মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় এই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।
খামারিরা জানায়, যান চলাচল বন্ধ আরও দীর্ঘ হলে দেখা দেবে গরুর খাবার সংকটের। অন্যদিকে সংকটের কারণে অনেক খামারিই কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারছেন না।
খামারিদের দাবি, বিশ্বব্যাপী এই মহামারিতে প্রধানমন্ত্রী সকল সেক্টরেই আর্থিক প্রণোদনা বা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। যদি ডেইরি ফার্ম শিল্পের প্রতি সরকার সুনজর না দেন তাহলে অনেক খামারিকেই পথে বসতে হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলা রেজিস্টার্ড দুগ্ধ খামারির সংখ্যা ৩৪৭। এছাড়াও ছোট বড় আরও প্রায় দেড়শ খামার রয়েছে।
খামারিদের এই দুর্দশার কথা স্বীকার করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ মো. আহসান জানান, প্রাথমিকভাবে তারা একটি মেশিন দিয়ে ৫-৬ লিটার দুধ ক্রিম করার চেষ্টা করছেন যা অপ্রতুল।
খামারিদের দাবির ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, খামারিদের সমস্যা সমাধানে অতিসত্বর ব্যবস্থা নেয় হবে।
তিনি জনসাধারণকে এই মুহূর্তে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি বেশি দুধ, ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।