সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ব্রিজ থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি অসংখ্য গর্তে জরাজীর্ণ হয়ে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে তিন কিলোমিটার রাস্তাটি মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে গাড়ি চালকরা জানান, রাস্তার গর্তে বৃষ্টির পানি জমে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ১১ এপ্রিল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সড়ক ভবন, চৌহাট্টা, সিলেট এ আবেদন করা হয়।
এর আগেও ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যেগে রাস্তাটি মেরামত করেছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে রাস্তাটি আবার জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
সড়কটি সংস্কার করা না হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক
শেওলা স্থল বন্দর সিলেট বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দর। ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর, কয়লা, বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী পেঁয়াজ ও আদা আমদানি হয়ে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, মাছ, তুলা ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি হয়ে থাকে।
এই স্থলবন্দর দিয়ে সরকার বাণিজ্য থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে।
এছাড়া শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে শত শত যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে।
এদিকে, গত ৯ মে সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের একটি প্রতিনিধিদল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কার্যালয় সড়ক ভবনে সাক্ষাত করেন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডে ঈদ
সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা ও সরকারের রাজস্বের স্বার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।