উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় রয়েছে ৮টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন। কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারের ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া এই কৃষিযন্ত্রের সুবিধা ভোগ করছেন কৃষকরা।
কৃষিতে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারে যেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি চাষাবাদেও কমেছে ব্যয়। শুধু তাই নয় অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও জনবলের চাহিদা মতো জমি চাষ করতে পারায় বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন, রোপন, ধান কাটা, মাড়াই ও খড় সংগ্রহসহ কৃষি কাজের সর্ব ক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তি।
উপজেলার আলাপুর গ্রামের কৃষক জাবের হোসেন জানান, খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং ও ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে গত বোরো মৌসুমে প্রায় ১৫ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করি। কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটি। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে আমি অনেক ভাল সুফল পেয়েছি। কৃষকরা প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেলে যেমন অনাবাদি জমি হ্রাস পাবে, তেমনি কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ব্যাপক চাহিদা বাড়বে।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও রজকপুর গ্রামের চাষী মনোহর হোসেন মুন্না জানান, আমি এই প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপন করছি। দেড় একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে আমন ধনের চারা রোপন করেছি। এবছর প্রায় ৫ একর জমিতে এই মেশিনের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপন করবো। আমি আশাবাদী আগের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৩০ সালে খাদ্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। এরই ধারাবাহিকতায় যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।