সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাঠ জুড়ে এবারও বিনা চাষে বোনা রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। মাঠে মাঠে পুরুষদের সাথে নারীরাও এখন রসুন তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শস্যভান্ডার খ্যাত এবার চলনবিলের উপজেলার চর হামকুড়িয়া, চর কুশাবাড়ী, নাদো সৈয়দপুর, ধামাইচ, সবুজপাড়া, বিন্নাবাড়ী, দিঘী সগুনা, কুন্দইল, ধামাইচ, মাগুড়াবিনোদ, বারুহাসসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মাঠে বিনা চাষে রসুনের চাষ করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে রসুন চাষে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের
এ প্রসঙ্গে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক, কোরবান আলীসহ অনেকেই জানান, এ অঞ্চলে প্রতি বছরই বিনা চাষে রসুন চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। ধান চাষে তেমন লাভ না হওয়ায় বিনা চাষে এই রসুন চাষাবাদে ঝুকেছে কৃষকেরা। তবে শীত মৌসুমে বিনা চাষে এ রসুন বোনা হলেও সার-বীজ-কীটনাশক দিয়ে খরচ হয়ে থাকে অনেক। এবার রসুন চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে ৭ টন রসুন উৎপাদন হবে।
উৎপাদিত রসুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতি কেজি রসুন গড়ে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার মূল্য ভালো থাকলে এ রসুন চাষে স্বাবলম্বী হবেন বলে তারা জানান।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের প্রভাবে দাম বেড়েছে আদা, রসুনের
সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছর এ উপজেলায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর ৪৪০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৫১৭ হেক্টর জমিতে রসুন চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও ভালো হয়েছে।
ইতোমধ্যেই এ অঞ্চলের কৃষকেরা সিংহভাগ রসুন ঘরে তুলেছে।
আরও পড়ুন: আদা-রসুনের মূল্য: পাইকারিতে সস্তা, খুচরা বাজারে চড়া
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হানিফ বলেন, ‘শীতের মৌসুমে চলনবিলের জমির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকেরা কাঁদা মাটিতে সার ছিটানোর পর বিনা চাষে এ রসুন চাষ করে। এ রসুন বোনার পর খড় বা নাড়া দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় জমি। এ কৌশল অবলম্বনে ফলন ভালো হয়ে থাকে। জেলায় এবার ১ হাজার ৪ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে।’
এ রসুন চাষ চলনবিলে বেশি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।