সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা জব্দকৃত বালু-পাথর রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব, দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
জানা যায়, গত ২৪ মার্চ বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি ব্রীজের উত্তর পশ্চিমপাশে ঘাগটিয়া বালুর টেক উত্তর পাশে শিমুলগাছ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বালু ও পাথর জব্দ করে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও র্যা বের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স। জব্দকৃত ৯০ হাজার ফুট বালু-পাথর পৃথকভাবে দুজনের কাছে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ টাকায়।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে চাচা ভাতিজার মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে কোটি টাকার বালু-পাথর নিলাম হচ্ছে না। রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।
এদিকে, শিমুল গাছ থেকে শুরু করে পাকা রাস্তা পর্যন্ত আরও প্রায় ২৫ জন ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৩০ হাজার ফুট বালু-পাথর মৌখিকভাবে জব্দ করলেও টাস্কফোর্স নিলাম না দেয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘একই অপরাধে দুই আইন তা হতে পারে না। নদীর তীরে থাকা অবৈধ বালু-পাথর কিছু নিলামে দিবেন আর কিছু নিলাম দেবেন না তা মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমাদের দাবি অবশিষ্ট বালু-পাথরও যেন নিলাম দেয়া হয়। ফলে সরকারি কোষাগারে জমা হবে প্রায় কোটি টাকা।'
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, যাদুকাটা নদীর পাড়ে থাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু-পাথর সবাই রেখেছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ীর জন্য এক আইন আর অন্যদের জন্য আরেক আইন তা হতে পারে না। প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ হাজার ফুট বালু ও পাথর বিক্রি করেছে এবং সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে আরো ২০-২৫ জন ব্যাবসায়ীর লক্ষাধিক ফুট বালু-পাথর। এসব বালু-পাথরও নিলামে বিক্রির দাবি জানাই।'
আরও পড়ুন: কলমা নদীতে গ্যাস উদ্গীরণ, সুনামগঞ্জে আতঙ্কে গ্রামবাসী
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, 'আমরা জব্দকৃত বালু-পাথর নিলামে বিক্রি করেছি। অন্যদিকে এখনো যারা আইনের বাহিরে রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা আছে। লকডাউনের কারণে দেরি হয়ে গেছে। শিগগরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।'