ইউক্রেনের বেসামরিক এলাকায় হামলা জোরদার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। মঙ্গলবার আগ্রাসনের ষষ্ঠ দিনে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের সেন্ট্রাল স্কয়ার এবং কিয়েভের প্রধান টিভি টাওয়ারে বোমাবর্ষণ করেছে। এ ঘটনার কঠোর সমালোচনা করে একে সন্ত্রাসের নির্লজ্জ প্রচারণা বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘কেউ ক্ষমা করবে না। কেউ ভুলবে না।’
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) তার প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘মূল্য দিতে’ হবে দায়ী করে তার বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।
ইতোমধ্যে শত শত রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য যানবাহনের ৪০ মাইলের (৬৪ কিলোমিটার) দীর্ঘ সেনা বহর প্রায় তিন মিলিয়ন লোকের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
রুশ বাহিনী দক্ষিণে ওডেসা এবং মারিউপলের কৌশলগত বন্দরসহ অন্যান্য শহরগুলোতে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত করবে আইসিসি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্থল যুদ্ধের ষষ্ঠতম দিন রাশিয়া কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতে রেখেছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা এখনও অস্পষ্ট। একজন ঊর্ধ্বতন পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, যুদ্ধে ৫ হাজারের বেশি রাশিয়ান সৈন্য বন্দী বা নিহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন সেনা ক্ষয়ক্ষতির কোনো সামগ্রিক হিসাব দেয়নি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলছে, তারা ১৩৬ বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড করেছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত দুই দিনে জনবহুল এলাকায় রাশিয়ার বিমান ও কামান হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আরও বলা হয়, তিনটি শহর- খারকিভ, খেরসন এবং মারিউপল-রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে পড়েছে।
পড়ুন: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পরবর্তী শান্তি আলোচনা বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে