শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড পিপলস ফোর্স বা এসজেবি ঐক্য সরকার গঠনের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এসজেবির প্রধান রঞ্জথ মাদুমা বানাদারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন,‘এই দেশের মানুষ চায় গোতাবায়া এবং পুরো রাজাপাকসে পরিবার ক্ষমতা ছাড়ুক। আমরা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারি না এবং আমরা দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে মিলে কাজ করতে পারি না।’
২২৫ সদস্যের সংসদে এসজেবি’র ৫৪ জন আইনপ্রণেতা রয়েছে।
সোমবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের অফিস থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি এই জাতীয় সংকটের সমাধান খুঁজতে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সরকারে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তার এ আহ্বানের পরে নতুন চার মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাবেক বিচারমন্ত্রী আলি সাবরি নতুন অর্থমন্ত্রী, জিএল পিরিস পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দিনেশ গুনাবর্র্দেনা শিক্ষামন্ত্রী ও জনস্টন ফার্নান্দো পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
তবে এসজেবি তাৎক্ষণিকভাবে ঐক্য সরকার গঠনে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে সোমবারও নেতৃত্ব পরিকর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এসময় হাজার হাজার মানুষ জরুরি অবস্থা ও কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় নতুন ৪ মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ
গত রবিবার রাতে দেশটির ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার মধ্যরাতে ডিক্রির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাজাপাকসে পরিবার থেকে প্রেসিডেন্ট এবং তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ক্ষমতায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপাকসের সঙ্গে যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে আরও দুই ভাই, অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে এবং সেচ মন্ত্রী চামাল রাজাপাকসে ছিলেন।
এই পদত্যাগগুলোকে নির্বাহী, প্রতিরক্ষা এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ধরে রেখে জনগণের ক্ষোভ প্রশমিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার দায়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাও সোমবার পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের