প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের দেশীয়ভাবে তৈরি করোনার টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন।
দেশটিতে করোনার টিকাদানের হার, বিশেষ করে বুস্টার, বাড়ানোর প্রচারণার অংশ হিসেবে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় বিবিসি।
আরও পড়ুন: শত বিপত্তি পেরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা চীনের
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপপ্রধান জেং ইক্সিন বলেছেন, এটি চীনা টিকার প্রতি নেতাদের আস্থা প্রদর্শন করেছে।
এই ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য সাধারণত জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয় না।
জেং বলেন, চীনা নেতারা ‘সবাই দেশীয় করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন।’
এর মাধ্যমে এটি প্রদর্শন করে যে তারা মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কাজে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং দেশের তৈরি করোনার টিকার ওপর অত্যন্ত আস্থা রাখেন।
চীনে টিকাদানের হার খুবই কম। দেশটি পুনরায় খুলতে টিকাদানের হার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।
গণপরীক্ষা, কঠোর আইসোলেশন নিয়ম ও স্থানীয় লকডাউনসহ ‘শূন্য কোভিড’ কৌশল অনুসরণ করে চলেছে চীন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
প্রেসিডেন্ট শি বারংবার বলছেন, শূন্য কোভিডের কোনো বিকল্প নেই।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে চীনে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এতে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৬৪৭ জন।
মহামারিকালে দেশটিতে টিকাদানের হার নিম্ন হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, ৬০ বছর বেশি বয়সীদের মাত্র ৩৮ শতাংশ বুস্টার ডোজ এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মাত্র ১৫ শতাংশ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এখন করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।