ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য মিত্র দেশের মস্কো থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্তের মধ্যেও ভারত এবং অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর অন্যতম তেলের উৎস হয়ে উঠছে রাশিয়া।
এশীয় দেশগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম রাশিয়ার রপ্তানি আয়কে এমন সময়ে বাড়িয়ে তুলছে যখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন সব আর্থিক প্রবাহ সীমিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ব্যাপক ছাড়ে অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। ব্রেন্ট ক্রুড এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক তেল ব্যারেল প্রতি প্রায় ১২০ ডলারে লেনদেনের তুলনায় মস্কো ৩০-৩৫ মার্কিন ডলার ডিসকাউন্টে অফার করছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির পরামর্শ চায় ঢাকা
কমোডিটি ডেটা ফার্ম কেপলার এর মতে, ২০২২ সালে এক দশমিক চার বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত প্রায় ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছে।
এছাড়াও চীনের মতো অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলোতেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শিপমেন্ট বেড়েছে তবে কিছুটা কম।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া এক সাক্ষাত্কারে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শনিবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে আরও তেল কিনতে বাধ্য হতে পারেন কারণ তার দেশের মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে জ্বালানির প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শান্তির প্রধান পদক্ষেপ: জেলেনস্কি