তিনি কোনো ভ্যাকসিন নেবেন কিনা এবং প্রকাশ্যে টিকা দেয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সতর্কতা দেবেন কিনা তা জানতে চাইলে গুতেরেস বলেন, ‘যখন ভ্যাকসিন আমার কাছে পর্যাপ্ত হবে, আমি অবশ্যই তা নেব। যে পরিস্থিতিতে ন্যায়সঙ্গত হবে সেই পরিস্থিতিতেই তা গ্রহণ করার ইচ্ছা আছে। এবং অবশ্যই, প্রকাশ্যে এটি করার ক্ষেত্রে আমার কোনো দ্বিধা নেই।’
তিনি সবাইকে ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেন।
আরও পড়ুন: ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল কানাডা
‘আমি সবাইকে, ভ্যাকসিন পাওয়ার পর তা গ্রহণ করতে উত্সাহিত করি, কারণ এটি কেবল আমাদের নিজেদেরকেই সুরক্ষা দেবে না, এটা পুরো সম্প্রদায়কে রক্ষা করবে। কারণ তখন আমরা আর ভাইরাসটি ছড়াবো না, রোগ ছড়িয়ে পড়ারও কোনো ঝুঁকি থাকবে না,’ জাতিসংঘ-আফ্রিকান ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
‘সুতরাং আমাদের সকলেরই ভ্যাকসিন নেয়া নৈতিক দায়িত্ব।’
গুতেরেস করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী সবার জন্য, সর্বত্র এবং বিশেষত আফ্রিকাতে সহজলভ্য করার ব্যাপারে পুনরায় আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ আফ্রিকার দেশগুলোতে কোভিড-১৯ সংকট যথাযথভাবে মোকাবিলার জন্য অর্থের অভাব রয়েছে, কেননা কিছু অংশে তাদের পণ্য রপ্তানির চাহিদা ও দাম কমে আসছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫১২ জনে।
বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৮ জন।
এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও প্রায় ৭ লাখ মানুষের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৩ জনে। বুধবার এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬১ হাজার ১৫৬ জন।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি রোগী। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ১৭৭ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।