এদিকে, কাশ্মীরে আরোপ করা অবরোধ চ্যালেঞ্জ করে ভারতের উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
ভারত সরকার চলতি সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং একে রাজ্য থেকে অঞ্চলে অবনমন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া রেডিও গ্রেপ্তারের বিষয়ে তথ্য দিলেও বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেনি। সেই সাথে তারা জানিয়েছে, বুধবার দিনের শেষে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গুলি বিনিময় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৃহস্পতিবার কাশ্মীর নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ওই অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন।
সমাজকর্মী আলি মোহাম্মদ নিউ দিল্লি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, ভারতীয় কাশ্মীর অংশের মূল শহর শ্রীনগরের হাসপাতালে অসুস্থ গরিব লোকদের নেয়ার জন্য তিনি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছেন। কারণ, স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসা সেবা চাওয়ার জন্য ফোনও ব্যবহার করতে পারছেন না।
‘এটা নরক,’ এক রোগী বলেন ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে।
বিরোধী কংগ্রেস পার্টির কর্মী তাহসিন পোনাওয়ালা জানান, কাশ্মীরে সান্ধ্য আইন এবং ফোন, ইন্টারনেট ও সংবাদ চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
সেই সাথে তিনি ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ আটক কাশ্মীরি নেতাদের দ্রুত মুক্তি চেয়েছেন।
কাশ্মীর ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য এবং সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ ভারতের শাসনের বিরোধী। ১৯৮৯ সালে ওই অঞ্চলে বিদ্রোহ শুরু হয় এবং তা দমনে ভারতের অভিযানে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।