মঙ্গলবার জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জাতিসংঘ প্রধান, ফিলিস্তিনি এবং অনেক দেশের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার শপথ নিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে- গাজায় যুদ্ধ কেবল তাদের যুদ্ধ নয়, বরং ‘মুক্ত বিশ্বের যুদ্ধ’।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনও একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয় এবং তারপর থেকে গাজায় ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কোহেন প্রশ্ন করেন, ‘আমাকে বলুন, শিশু হত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারা, শিশুর শিরশ্ছেদ করার জন্য ‘সমানুপাতিক’ প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? আপনারা কীভাবে এমন একজনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারেন যিনি আপনাদের নিজের অস্তিত্বকে শেষ করার শপথ নিয়েছেন?’
আরও পড়ুন: রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল সহায়তা বহনকারী তৃতীয় চালান, ২ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি হামাসের
কোহেন ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘চরমপন্থার’ বিরুদ্ধে সমগ্র মুক্ত বিশ্বের জন্য জেগে ওঠার আহ্বান জানান এবং হামাসকে পরাজিত করতে সভ্য বিশ্বকে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এবং তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আজ ইসরায়েল এবং আগামীকাল হামাস ও হামলাকারীরা পশ্চিমা থেকে শুরু করে সবার দোরগোড়ায় থাকবে।
কোহেন কাতারের বিরুদ্ধে হামাসকে অর্থায়নের অভিযোগ এনে বলেন, ইসরায়েল থেকে নেওয়া ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিদের ভাগ্য, যাদের কয়েকজন পরিবার জাতিসংঘের বৈঠকে এসেছিল, তাদের ভাগ্য তার আমিরের হাতে ছিল।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এখানে এসেছি হত্যা বন্ধ করতে, থামাতে… ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার শক্তি ইসরাইল কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে এবং নৃশংসভাবে চলমান গণহত্যা চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এগুলো বন্ধ করা আমাদের সম্মিলিত মানবিক দায়িত্ব।
আল-মালিকি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আরও হামলা, হত্যা, অস্ত্র ও জোট ইসরাইলকে নিরাপদ করবে না, ‘কেবলমাত্র শান্তিই করবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কয়েক দশকের পুরনো ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে মাসিক বৈঠকের উদ্বোধন করেন, যা একটি বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে এবং যুদ্ধের মূল পক্ষের মন্ত্রী এবং আরও এক ডজন দেশের মন্ত্রীরা নিউ ইয়র্কে গেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।