জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার পশ্চিম জাপানের একটি মাছ ধরার বন্দরে প্রচারণা চালানোর সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এদিন কেউ একজন তার দিকে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। তবে তাকে অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কিশিদার ওপর হামলার বিষয়টি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নয় মাস আগের হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আবের ওপরও প্রচারাভিযানেই হামলা করা হয়েছিল।
কিশিদা স্থানীয় নির্বাচনে তার ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের সাইকাজাকি বন্দর পরিদর্শন করছিলেন এবং তার বক্তৃতা শুরু করার ঠিক আগে হামলা ঘটে।
চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাতসুনো সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানে শিনজো আবের হত্যায় ইয়ামাগামিকে অভিযুক্ত দেশটির আইনজীবীদের
তবে মাতসুনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তিনি শুধু বলেছেন যে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
বিস্ফোরক বস্তুটি কী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে আরও কেউ ছিল কি-না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি, তবে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এটি একটি স্মোক বা পাইপ বোমা।
মাতসুনো আরও বলেছেন, কিশিদা অক্ষত আছেন এবং শনিবারের ঘটনার পরেও তার প্রচারাভিযানের বক্তৃতা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় টোকিওতে ফিরে আসেন।
মাতসুনো বলেন, ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ এবং আমাদের কখনই সহিংসতার হুমকি বা বাধা সহ্য করা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য গ্রুপ অব সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সময় জাপান সফররত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে জাতীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমের শহর নারাতে একটি প্রচারাভিযানের বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড পুরো দেশকে হতবাক করেছিল। যার ফলে জননিরাপত্তা এবং বন্দুক আইন আরও কঠোর করা হয়। পুলিশ তদন্তের পরে তাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে, তারা আবের নিরাপত্তায় ত্রুটি খুঁজে পায়।
আরও পড়ুন: জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
আবের মৃত্যু: পুলিশের নিরাপত্তাকে দায়ী করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী