দেশের উত্তরাঞ্চল জুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে দেশটিতে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ৬টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাফদারজংয়ে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর, শহরেটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয় এবং ২০০০ সালের ৮ জানুয়ারি তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, শীতে দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের
সপ্তাহ জুড়েই দিল্লিতে শীতের তীব্রতা থাকলেও শনিবারের পর থেকে তা কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
আইএমডি প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০০ সালের ৮ জানুয়ারি তাপমাত্রা ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। শুক্রবারও শীতের তীব্রতা থাকবে। তবে, শনিবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন, শিশুর মৃত্যু
দেশটির স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, দিল্লিতে শীতের হাত থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে প্রায় ২০০টি রাতের আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতের এ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। শীতের মধ্যে যাতে কোনো গৃহহীনকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে না হয় সে জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে দিল্লি সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উত্তরে টানা তীব্র শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন
শীতের তীব্রতায় শুধু ভারতের রাজধানী নয়, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রীয় সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগ এলাকা কাঁপছে।