সেই সাথে এ মহামারিই শেষ নয় বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের জানায় মহামারির প্রাদুর্ভাব জীবনের মতোই সত্য। তবে পরবর্তী মহামারি যখন আসবে তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। চলমান সময়ের চেয়েও বেশি প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’
‘কোভিড-১৯ আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। তার একটি হলো স্বাস্থ্যসেবা সামর্থ্যবানদের জন্য বিলাসবহুল কোনো বিষয় নয় বরং এটি প্রয়োজনীয় ও মানবাধিকারের বিষয়। জনস্বাস্থ্য হলো সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি। তার মানে হলো রোগ প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং মোকবিলার জন্য জনসংখ্যা-ভিত্তিক পরিষেবাগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে,’ বলেন তিনি।
ডব্লিউএইচইও’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অনেক দেশ চিকিৎসা খাতে বেশ এগিয়েছে, তবে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় অনেক দেশ প্রাথমিক জনস্বাস্থ্য সেবার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, উন্নততর দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য জনস্বাস্থ্যে বিনিয়োগ করা উচিত।
টেড্রোস অ্যাধনম বলেন, আগের সার্স, মার্স, হাম, পোলিও, ইবোলা, ফ্লু এবং অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অনেক দেশই শিক্ষা নিয়েছে বলে তারা মহামারি মোকাবিলায় ভালো করেছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৯২ হাজার ৬৪৮ জনে। সেই সাথে ভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৭৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৩ জন।