সাত বছরের শিশু জয়নাব আনসারির বাবার উপস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে ইমরানের দণ্ড কার্যকর করা হয়।
গত জানুয়ারিতে পাঞ্জাব প্রদেশের কাসোর শহরে জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুরো দেশ জুড়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তিনি আরও খুনের দায় স্বীকার করেন এবং আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে উচ্চ আদালতেও তার ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ভোরের আগ মুহূর্তে ইমরানকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে তাকে দড়িতে ঝুলানো হয়। দণ্ড কার্যকরের সময় জয়নাবের বাবা মোহাম্মদ আমিন আনসারিও উপস্থিত ছিলেন।
আমিন আনসারি জনসম্মুখে ইমরানকে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন, যাতে অন্যরা এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। কিন্তু আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয়।
দ্রুত ন্যায় বিচার করায় দণ্ড কার্যকর করার পরই বিচার বিভাগ, সরকার ও তদন্তকারীদের ধন্যবাদ জানান আমিন আনসারি। তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়ে ফিরে আসবে না। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট যে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, আমিন আনসারি ও তার স্ত্রী হজের জন্য সৌদি আরব থাকাকালে তাদের মেয়ে জয়নাব নিখোঁজ হয়। পরে আবর্জনার স্তুপে তার লাশ পাওয়া যায়।