অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের প্রস্তুতকৃত এই ভ্যাকসিন দুটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা ডিসিজিআই এর শীর্ষ কর্মকর্তা ড. ভেনুগোপাল সোমানি জানান, উভয় ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ দেয়া হবে।
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ৮ কোটি ৪৫ লাখ ছাড়াল
২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক টিকাদান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পুলিশ, প্রবীণ নাগরিক এবং অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীসহ দেশটির ৩০০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেয়া হবে।
ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ তৈরি করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
কোভ্যাক্সিন নামে অন্য ভ্যাকসিনটি ভারতেই তৈরি হয়েছে। দেশটির সরকারি চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বছরের শুরুতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়াল
কোভ্যাক্সিনের তিনটির মধ্যে মাত্র দু'টি ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এর তৃতীয় পর্যায়ের 'এফিকেসি ট্রায়াল' বা কার্যকারি পরীক্ষা শুরু হয় নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
ভারত বায়োটেকের প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে ভ্যাকসিনটির গুরুতর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম।
ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য ফাইজারের একটি আবেদনও পর্যালোচনা করছে ভারত।
ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা
উল্লেখ্য, পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যুর দিক থেকে রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দেশ হিসেবে সেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।