তাবলিগ জামাতের একটি সমাবেশের পর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ৫৩০ জন নিশ্চিতভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের পাঁচজনের মধ্যে অন্তত একজন তাবলিগ জামাতের সমাবেশ থেকে সংক্রমিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
গত মার্চ মাসে ভারত সরকার জনসমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরপরই নয়াদিল্লির জনাকীর্ণ নিজামউদ্দিন এলাকায় তাবলিগ জামাতের তিনদিনের এক সমাবেশে প্রায় আট হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন।
তাবলিগ জামাতের এক মুখপাত্র মুজিব-উর-রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১ দিনের লকডাউন জারি করায় আটকা পড়া মানুষদের আশ্রয় দিতে সমাবেশস্থলটি উন্মুক্ত ছিল।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সমাবেশস্থলে অভিযান চালায় সরকার। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে জনসমাবেশ করা তাবলিগ জামাতের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমাবেশে অংশ নেয়া ১৬ বিদেশিসহ ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাবলিগ জামাতের সমাবেশের পর থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা দেশটিতে করোনা সংক্রমণের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ী করে আসছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. অনন্ত ভান বলেন, ‘শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের করোনা সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তা নয়, বরং তারা ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকিতেও থাকবে।’