দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তারা এ বিক্ষোভ পালন করছেন।
দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে উঁচু জাতের চার ব্যক্তি এক মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে মঙ্গলবার সকালে দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তার শরীরে একাধিক ফ্র্যাকচার, প্যারালাইসিস ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরে পুলিশ মধ্যরাতে ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে লাশের সৎকার করার পরে এ বিক্ষোভ দেখা দেয়। পরে পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দলগত ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভটি আরও ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে কোনো বীর্য বা বীর্যপাত হয় প্রমাণ মেলেনি। আঘাতের কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রের নেতৃত্বে জনতার মনতারে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ পালন করেন। পরে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ হাজার হাজার মানুষ এতে যোগ দেন।
কেজরিওয়াল এসময় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার দাবি জানান।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। দোষীদের ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত।’
এদিকে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘সরকার সব মা ও বোনদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে যোগীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রায় আট বছর আগে দেশটির রাজধানীতে চলন্ত বাসে মেডিকেল পড়ুয়া ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরে সরকার নতুন আইন ঘোষণা করে। এর পরেও ভারতে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।