রবিবার সকালের এ ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে আছেন ১১ জন গ্রামবাসী এবং দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করা প্রায় ১৯০ জন কর্মী।
ভিডিওতে দেখা যায়, কর্দমাক্ত ও ধূসর রঙের বানের পানি উপত্যকা দিয়ে গড়িয়ে এসে বাঁধে আঘাত করছে। পরে বাঁধটিকে সহজেই টুকরো করে দিয়ে সেই পানির তোড় নিচে নেমে যায়। এ বন্যার তাণ্ডবে পুরো এলাকা ছাই রঙে ঢেকে যায়।
পর্বতারোহণে বিশেষজ্ঞ সেনাসহ দুই হাজারের অধিক সামরিক, আধাসামরিক ও পুলিশ সদস্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তারা রাতের বেলাতেও কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে বিস্ফোরকবাহী ট্রাক বিস্ফোরিত হয়ে নিহত ৫
রবিবার সকালে নন্দা দেবী হিমবাহের একটি অংশ ধসে গেলে এর পেছনে আটকে থাকা পানি ছুটে গিয়ে এ বন্যার সৃষ্টি হয়। পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচতে অলকানন্দ ও ধউলিগঙ্গা নদীর তীরের অনেক গ্রাম খালি করে ফেলা হয়।
আধাসামরিক বাহিনী ইন্দো তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পান্ডে জানান, অলকানন্দ নদীর ওপরে থাকা একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস এবং ধউলিগঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিমালয় পর্বতমালা থেকে নেমে আসা এ দুটি নদী এক হয়ে গঙ্গা নদীর সাথে মিশেছে।
বিবেক পান্ডে বলেন, ধউলিগঙ্গা প্রকল্পের দুটি সুড়ঙ্গে কমপক্ষে ৪২ শ্রমিক আটকা পড়েন। একটি সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। আরেকটির ভেতরে কমপক্ষে ৩০ জন আটকে আছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে ভারতের পর্যটন ‘হটস্পট’ গোয়া
‘উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গের মুখে যাওয়ার জন্য দড়ি ও শাবল ব্যবহার করেন। তারা কাদামাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেন। তবে তারা এখনও আটকা পড়া লোকদের কাছে যেতে পারেননি,’ বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত।
আরও পড়ুন: ভারতের মহারাষ্ট্রে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ১০ নবজাতক নিহত
হিমালয় অঞ্চলের নদী ও উপনদীগুলোতে বেশকিছু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত জানান, কর্তৃপক্ষ সময়মতো ফটক খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে ভাটির দিকে থাকা একটি বিদ্যুৎ ইউনিট রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
বানের পানিতে ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সরকারের মুখপাত্র রবি বিজারি জানান। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বিস্তারিত সংখ্যা এবং কোনো বাসিন্দা হতাহত হয়েছেন কি না তা তিনি উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন: মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে ফের ধস
‘পুরো বিষয়টা সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়। আমরা দুম করে একটা শব্দ শুনলাম যা আমাদের গ্রাম কাঁপিয়ে দেয়। আমরা বুঝলাম যে খারাপ কিছু একটা হয়েছে। আমরা নদীর ফুঁসে উঠা দেখতে পেলাম,’ রাইনি গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ নেগি ফোনে বলেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে।